বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৩৫ অপরাহ্ন
ডেস্ক নিউজঃ সদস্যদের পুনরায় সংগঠিত করে হামলার পরিকল্পনা করছিল জেএমবি। আর তার সমন্বয়ক হিসেবে কাজ করছিল হলি আর্টিজান মামলার চার্জশিটভুক্ত আসামি রিপন ও খালিদ। চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল থেকে শরিফুল ইসলাম খালিদকে গ্রেপ্তারের পর সংবাদ সম্মেলনে এমন দাবি র্যাবের।
খালিদ হলি আর্টিজান ছাড়াও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. রেজাউল করিম হত্যা মামলার ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি।
গুলশানে হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় ২০১৬ সালের ১ জুলাই ঘটে যাওয়া নৃশংসতম জঙ্গি হামলার পরিকল্পনা, হামলাকারী বাছাই ও প্রশিক্ষণ এবং অর্থ সংগ্রহের অন্যতম হোতা শরিফুল ইসলাম খালেদ। এমনটাই দাবি র্যাবের। এই ঘটনার চার্জশিটভুক্ত পলাতক দুই আসামির মধ্যে মামুনুর রশিদ রিপনকে গেল সপ্তাহে গ্রেপ্তার করে র্যাব। ২৫ জানুয়ারি, শুক্রবার গ্রেপ্তার হলো খালিদ। এ নিয়ে চার্জশিটে নাম থাকা আট আসামির সবাই আইনের আওতায় এলো।
র্যাব বলছে, এই দুজন জেএমবির বিভিন্ন পর্যায়ের সদস্যদের একত্রিত করার কাজ করছিল।
র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার মুফতি মাহমুদ খান বলেন, ‘এদেরকে গ্রেপ্তার করার জন্য গোয়েন্দার নজরদারি ছিল এক বছর। রিপন এসেছে ২০১৮ এর প্রথম দিকে, শরিফুল ইসলাম সেই কার্যক্রম আবার শুরু করে ২০১৭ এর দিকে। মেন্টর হিসেবে এদের সাথে কে কাজ করেছে আমাদের কাছে সেই তথ্য আছে। আমাদের কাছে তথ্য ছিল তারা আবার এক হচ্ছে।’
২০১৬ সালের ২৩ এপ্রিল রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক রেজাউল করিম হত্যার মূল হোতাও ছিল সে। এই মামলায় এরই মধ্যে মৃত্যুদণ্ড হয়েছে তার। অধ্যাপক রেজাউল করিম এবং খালিদের বাড়ি রাজশাহীর বাগমারায় এবং খালিদ ছিল অধ্যাপক করিমের সরাসরি ছাত্র।
তিনি আরো বলেন, ‘ব্যক্তিগত ক্ষোভ এখানে আসেনি। আমিরের নির্দেশে পরিকল্পনা হয়েছে এবং সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করেছে তারা একসঙ্গে।’
জেএমবির আমির নিহত সারোয়ার জাহান এবং শীর্ষ জঙ্গি নেতা তামিম চৌধুরীর যোগাযোগ স্থাপনে শরিফুল ইসলাম বিশেষ ভূমিকা রেখেছিল বলেও জানায় র্যাব।